টিপস

দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম বের করার উপায় ২০২২

দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম অনলাইনে কিভাবে বের করতে হয়? অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই

আপনারা যারা eporcha gov bd থেকে দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম বের করার উপায় ২০২২ জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন তাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছি। আপনার সবচেয়ে স্থায়িত্ব সম্পত্তির মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে এর জমি। আর এই জমির দাগ নাম্বার দিয়ে সহজে জমির মালিকের নাম বের করার জন্য অনেকে অনেক উপায় খুঁজে বেড়ান। তাই আপনারা যদি আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে জেনে নিতে পারবেন দাগ নাম্বার দিয়ে কিভাবে জমির মালিকের নাম বের করা যায়।

এছাড়াও আমরা আপনাদেরকে খতিয়ান নম্বর বা দাগ নাম্বার এর মাধ্যমে যাতে জমির মালিকের নাম সহজে বের করতে পারেন তা বিস্তারিত জানাবো এবং সেইসাথে অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরব। বর্তমানে সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গিয়েছে তাই অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা ঘরে বসে খুব সহজে খতিয়ান নাম্বার অথবা দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম বের করতে পারবেন। চলুন তাহলে শুরু করি আমাদের আজকের মূল বিষয় জমির মালিকের নাম বের করার জন্য দাগ নাম্বার কিভাবে ব্যবহার করা হয়।

দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম বের করার উপায়

আপনারা যদি আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই জেনে নিতে পারবেন দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম বের করার উপায়। কারণ খতিয়ান পত্রে দাগ নাম্বার উল্লেখ করা হয় এবং সেই নাম্বার অনুসারে জমির প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করা যায়।

আমরা পূর্বে জানিয়ে দিয়েছি যে আপনাদেরকে বর্তমানে সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক হচ্ছে তাই আপনারা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে যেভাবে দাগ নাম্বার দিয়ে জমির প্রকৃত মালিক খুঁজে বের করবে তার সঠিক নিয়ম আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব।

জমির দাগ নাম্বার থেকে খতিয়ান বের করার দাগ সূচি

জমির প্রকৃত মালিক কে খুজে বের করার জন্য জমির দাগ নাম্বার থেকে জমির মালিক খুঁজে বের করতে পারবেন। আর এখন তা অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে শুধুমাত্র একটি মোবাইলের মাধ্যমে অথবা অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে ব্রাউজ করার ফলে আপনারা খুব সহজেই জমির দাগ নাম্বার অনুসরণ করে মালিকের নাম খুঁজে বের করতে পারবেন। আর তার জন্য আপনাদেরকে যে নিয়মটি অনুসরন করতে হবে তা হচ্ছে-

  • প্রথমে আপনাদেরকে বাংলাদেশের অফিশিয়াল ভূমি মন্ত্রণালয় ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। আর সেই ওয়েবসাইটের লিঙ্ক হচ্ছে-  ভূমি মন্ত্রণালয়
  • এরপর আপনাদের আর এস খতিয়ান নাম্বারে প্রবেশ করতে হবে।
  • আপনার জমি যে বিভাগে রয়েছে এসে বিভাগ বেছে নিতে হবে।
  • জেলা বেছে নিতে হবে।
  • উপজেলা বেছে নিতে হবে।
  • মৌজা বেছে নিতে হবে এবং সার্চ বক্সে লিখে দিতে হবে।
  • এরপর দাগ নম্বর অনুসরণ করে সিলেক্ট করে দিতে হবে,
  • একটি বক্সে দাগ নম্বর লিখতে হবে।
  • ক্যাপচা কোড পূরণ করতে হবে।
  • সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার জমির খতিয়ান নাম্বার গুলো পেয়ে যাবেন।

সুতরাং আপনারা এভাবে জমির দাগ নাম্বার থেকে খতিয়ান বের করে নিতে পারবেন। এরপর আপনারা এই খতিয়ান নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বের করে নিতে পারবেন। আর সেই পদ্ধতি জানার জন্য অবশ্যই আমাদের সাথে আপনাদের থাকতে হবে এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে দাগ নম্বর অনুসারে মালিকের নাম বের করতে পারবেন।

খতিয়ান নম্বর দিয়ে মালিকের নাম বের করার উপায়

আমরা আপনাদেরকে পূর্বে জমির খতিয়ান নাম্বার কিভাবে বের করা হয় তা জানিয়ে দিয়েছি। এবার আপনারা খতিয়ান নাম্বার দিয়ে খুব সহজেই জমির মালিকের নাম বের করে নিতে পারবেন। আর তার জন্য আপনাদেরকে একটি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে এবং এই পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনারাও জমির প্রকৃত মালিক খুঁজে পাবেন। আর যদি জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন ডুবলিকেট থাকে তাহলে আপনারা এই ক্ষেত্রে এভাবে জমির মালিক খুঁজে বের করে সহজেই জেনে নিতে পারবেন আসলে ওই জমিটি কি সঠিক আছে কিনা।

নিম্নে খতিয়ান নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম বের করার উপায় দেখানো হলো-

  • পূর্বে আপনারা যে খতিয়ান নাম্বার বের করেছেন সেই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে বলা হয়। সেই দাগ নাম্বার সিলেক্ট করতে হবে।
  • বক্সে দাগ নাম্বার টি লিখতে হবে।
  • এর পর ক্যাপচা কোড পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।
  • এখন আপনারা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর জমির মালিকের নাম পেয়ে যাবেন। এবং সেখানে আপনারা আরও একটি বিষয় জানতে পারবেন সেটি হচ্ছে ওই জমির মালিকের কতটুকু পরিমান জমি রয়েছে তা জেনে নিতে পারবেন।

জমির খতিয়ান ও দাগ নাম্বার কি?

দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম বের করার পূর্বে অবশ্যই আমাদের জেনে নিতে হবে জমির খতিয়ান ও দাগ নাম্বার সম্পর্কে। নিম্নে জমির খতিয়ান ও দাগ নাম্বার আলোচনা করা হলো-

জমির খতিয়ান

ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমির মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ পত্র প্রস্তুত করা হয় তাকে মূলত খতিয়ান বলা হয়। খতিয়ান মৌজা ভিত্তিক। বাংলাদেশের নিয়ম অনুসারে CS, RS, SA এবং সিটি জরিপ সম্পন্ন করার জন্য জরিপকালে ভূমির মালিক এর তথ্য প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে যে পত্র তৈরি করা হয় তাকে খতিয়ান বলা হয়।

দাগ নাম্বার

যখন খতিয়ান তৈরি করা হয় তখন জমির ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় এবং ওই ম্যাপের মৌজা নকশা ভূমির সীমানা চিহ্নিত করা থাকে, প্রতিটি খণ্ডকে আলাদা আলাদা নাম্বারে বিভক্ত করা হয়। আরে  নাম্বার গুলোকে জমির দাগ নাম্বার বলা হয়। মূলত এই জমির দাগ নাম্বার অনুসারে মৌজার অধীনে জমির মালিকানার সীমানা আইল দিয়ে প্রদর্শন করা হয় এবং জমি চিহ্নিত করা যায়।

আপনারা যারা দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম বের করার উপায় জানতে চেয়েছেন তারা আশা করছি আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা জমির আসল মালিক কে পেতে সক্ষম হয়েছেন। আপনাদের যদি এই প্রক্রিয়া কালে যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন অথবা এই ভূমি সম্পর্কিত অন্যান্য যেকোন তথ্য যদি জানতে চান তাহলে আপনার আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button