টিপস

বন্ধু দিবস কবে? কেন পালিত হয় বন্ধু দিবস, জানুন ইতিহাস

পরিবারের বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় সেটি হচ্ছে বন্ধু। বন্ধু এমন একটি সম্পর্ক যে সম্পর্কের মধ্যে সকল অনুভূতি তৈরি হয়। বিশ্বাস, ভরসা, আশা, ভালোবাসা, একত্ববাদ, নৈতিকতা, শ্রদ্ধা ও স্নেহ সম্মিলিত হয়ে বন্ধুর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক কোন শেষ হয় না, কারণ সুখে দুখে সবসময় পাশে থাকে। আপনারা যারা বন্ধু দিবস কবে? কেন পালিত হয় বন্ধু দিবস জানতে চান তাদের জন্য আমরা বন্ধু দিবস সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদের এখান থেকে বন্ধু দিবস সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারবেন এবং বন্ধু দিবসের সঠিক ইতিহাস জেনে নিতে পারবেন।

প্রতিটা মানুষের কাছে বন্ধু একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। পৃথিবীতে এই বন্ধুর জন্য যেকোন বিপদ মোকাবেলা করা সম্ভব। তাই সকল মানুষের জীবনে বন্ধুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। মন খুলে কথা বলার জন্য একমাত্র যে ব্যক্তিটি আমাদের জীবনের মূল ভূমিকা পালন করে তিনি হচ্ছেন বন্ধু। কিন্তু এই বন্ধু দিবস সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত। তাহলে এবার চলুন আমরা সকলে বন্ধু দিবস কবে এবং বন্ধু দিবস কেন পালন করা হয় সেইসাথে বন্ধু দিবসের ইতিহাস জেনে নেই।

বন্ধু দিবস কবে?

আমাদের প্রতিটি মানুষের জীবনে একজন না একজন বন্ধু রয়েছে। আর সেই বন্ধু আমাদের সাথে আত্মার সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং জীবনের যত কষ্টের মূহুর্তগুলো আছে সেই বন্ধুর সাথে শেয়ার এর মাধ্যমে নিজেকে হালকা করে নেয়া যায়। সকল মানুষের জীবনে যেহেতু বন্ধু একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সেহেতু আমরা একটি নির্দিষ্ট দিন কে কেন্দ্র করে বন্ধু দিবস পালন করি এবং সেই দিনে বন্ধুদের কে বিশেষভাবে আনন্দিত করে তুলি।  তবে আমরা এখন পর্যন্ত অনেকে জানিনা যে বন্ধু দিবস কবে? আপনারা যাতে পূর্বে থেকে বন্ধু দিবস কবে তারিখটি জেনে বন্ধুর জন্য বিশেষ উপহার প্রস্তুত রাখতে পারেন।

বন্ধু দিবস কত তারিখ?

আপনারা যারা বন্ধু দিবস কত তারিখে পালন করা হয় জানেন না তাদের জন্য আমরা বন্ধু দিবস কত তারিখে পালন করা হয় তা জানাতে এসেছি।

বিশ্ব বন্ধু দিবস হচ্ছে- ৩০শে জুলাই। সর্বপ্রথম ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেডের পক্ষ হতে ১৯৫৮ সালের ৩০শে জুলাই আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস হিসেবে প্রস্তাবিত হয়।

বন্ধু দিবস কত তারিখ

কেন পালিত হয় বন্ধু দিবস

বন্ধু দিবস পালন করার মূল কারণ হচ্ছে বন্ধুদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা নিবেদন করার জন্য এ বন্ধু দিবস পালন করা হয়। বন্ধু সবসময় আমাদের সকল বিপদে যেহেতু পাশে থাকে সেহেতু বিশেষ একটি দিন বন্ধুর জন্য পালন করা উচিত। তাই সকল শ্রেণীর মানুষ বন্ধু দিবসে বন্ধুত্বের কে বিশেষভাবে উপহার দিয়ে এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মাধ্যমে বন্ধু দিবস পালিত করে থাকেন।

বন্ধু দিবসের ইতিহাস

বন্ধু দিবসের যাত্রা কবে থেকে শুরু হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি তবে এক সূত্র মতে, আগস্ট মাসের প্রথম রোববার ১৯১৯ সালের বন্ধুদের মধ্যে বিভিন্ন কার্ড, ব্যান্ড এবং উপহার আদান প্রদানের মাধ্যমে বন্ধু দিবস পালিত হয়। তবে ১৯১০ সালে জায়েজ হলে প্রতিষ্টিত হলমার্ক কার্ড বন্ধু দিবস হিসেবে নিয়ে বন্ধুত্বের সম্পর্কে এক ধাপ এগিয়ে যায় এবং ১৯৩৫ সালে আমেরিকার সরকার এক ব্যক্তি কে হত্যা করেছিলেন এবং সেইডিম কে কেন্দ্র করে ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি হয় এবং আমেরিকান কংগ্রেস থেকে জানা যায় যে আগস্টের প্রথম রোববারকে বন্ধু দিবস পালিত হবে।

এরপর ১৯৫৮ সালের ৩০শে জুলাই মাসে বিশ্বব্যাপী বন্ধু দিবস পালন করার জন্য ঘোষণা করেন ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেড। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে বন্ধু দিবস পালন করা হলেও বর্তমান বাংলাদেশ আগস্ট মাসের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস পালিত হয়।

বন্ধু দিবসের তাৎপর্য

বন্ধু আছে একটি শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক আর এই সম্পর্ককে ব্যক্তি, রাষ্ট্র, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন অঙ্গনের দিক থেকে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য বন্ধু দিবস পালন করা হয়ে থাকেন। সকলের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয় এবং সেইসাথে সকলে শান্তিপূর্ণভাবে জীবন কাটাতে পারে তার মূল লক্ষ্য নিয়ে বন্ধু দিবস পালিত হয়।

বন্ধু দিবসের সেলিব্রেশন

ফ্রেন্ডশিপ ডে অথবা বন্ধু দিবস সেলিব্রেশন করা হয় ফ্রেন্ডশিপ কার্ড, বিভিন্ন ধরনের উপহার এবং ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড আদান প্রদানের মাধ্যমে এবং এই দিনটিতে সকলের হিংসা বিভেদ ভেদাভেদ একজন আরেকজনের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্কে আরো আপন সম্পর্ক তৈরি করে নেয়।

যেসকল ব্যক্তিবর্গ বন্ধু দিবস কবে জানতেন না তারা আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বন্ধু দিবস কবে? কেন পালিত হয় বন্ধু দিবস এবং বন্ধু দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই বন্ধু দিবসে আপনারা আপনাদের বন্ধুদের কে বিশেষভাবে উপহার দিয়ে তাদের সাথে সম্পর্ক আরও সুমধুর করে তুলতে পারেন। তবে আপনারা যদি অন্যান্য বিভাগ সম্পর্কে অথবা বন্ধু দিবস সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য জানতে চান তাহলে আপনার আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button